একটি অহংকারী রাজার গল্প।
এক অহংকারী রাজার গল্প
একদিন ছিল এক রাজা। তার রাজ্য ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সোনা, রূপা, মণি, মুক্তো, সবই ছিল তার রাজ্যে। কিন্তু এই সম্পদই রাজাকে অহংকারী করে তুলেছিল। সে মনে করত, তার থেকে বড় কেউ নেই।
একদিন, একজন ঋষি রাজার দরবারে এলেন। রাজা তাকে অবজ্ঞা করে বলল, “তুমি কে? আমার দরবারে এসে আমার সময় নষ্ট করছো কেন?”
ঋষি শান্ত স্বরে বললেন, “মহারাজ, আমি আপনাকে একটা উপহার দিতে এসেছি।”
রাজা হাসিমুখে বলল, “উপহার? আমার কাছে এমন কিছু নেই যেটা আমি চাই না। তুমি আমাকে কী দিতে পারবে?”
ঋষি তখন রাজাকে একটি ছোট্ট বীজ দিয়ে বললেন, “এই বীজটাকে আপনার রাজ্যের সবচেয়ে উর্বর জমিতে লাগান। কয়েকদিন পর আপনি দেখবেন, এই বীজ থেকে কী জন্ম হচ্ছে।”
রাজা বীজটি নিয়ে হাসতে হাসতে তার বাগানে গিয়ে লাগাল। কয়েকদিন পর সেই বীজ থেকে একটি অদ্ভুত গাছ জন্মাল। গাছটির পাতা ছিল সোনার, ফুল ছিল রূপার আর ফল ছিল মণির। রাজা খুশি হয়ে গেল। সে মনে করল, এই গাছ তার সম্পদের ভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে।
কিন্তু কয়েকদিন পর গাছটির পাতা, ফুল আর ফল সব মরে গেল। গাছটি শুকিয়ে গেল। রাজা খুব দুঃখ পেল। সে ঋষিকে খুঁজতে লাগল। অবশেষে ঋষিকে পেয়ে সে কাঁদতে কাঁদতে বলল, “আপনি যে বীজ দিয়েছিলেন, সেই গাছটি মরে গেছে। কেন?”
ঋষি বললেন, “মহারাজ, সেই গাছ আপনার অহংকারের প্রতীক ছিল। আপনার অহংকার যেমন মরে গেছে, তেমনি গাছটিও মরে গেছে। আপনাকে সবসময় নম্র থাকতে হবে। তাহলেই আপনার রাজ্য সুখী হবে।”
রাজার চোখে জল এল। সে ঋষির কথা মনে রেখে তার রাজ্যের মানুষদের সেবা করতে শুরু করল। সে নম্র হয়ে গেল। তার রাজ্য আগের চেয়েও বেশি সমৃদ্ধ হয়ে উঠল।
শিক্ষা: এই গল্প থেকে আমরা শিখতে পারি যে, অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। নম্রতা এবং দয়া গুণই মানুষকে সফল করে।
আরেকটি গল্প শুনতে চাও?
No comments